Please Call us to check the Stock before Placing the order!

অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর: কেনার আগে যা জানতে হবে!

এখানে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর কেনার আগে আপনার যা জানা দরকার, তা ধাপে ধাপে আলোচনা করা হলো।

মুখ্য বিষয়সমূহ (Key Takeaways)

  • অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর কেনার আগে আপনার প্রয়োজন ও চিকিৎসকের পরামর্শ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
  • মেশিনের ফ্লো রেট, বিশুদ্ধতা, পোর্টেবিলিটি এবং নয়েজ লেভেল ভালোভাবে যাচাই করুন।
  • ভালো ব্র্যান্ড এবং নির্ভরযোগ্য বিক্রেতার কাছ থেকে কিনুন।
  • বিক্রয়োত্তর সেবা এবং ওয়ারেন্টি নিশ্চিত করুন।
  • বাজেট এবং দীর্ঘমেয়াদী খরচ বিবেচনা করুন।

অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর কেনা একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। বিশেষ করে যখন আপনার প্রিয়জনের স্বাস্থ্যের প্রশ্ন আসে, তখন সঠিক তথ্য জানা থাকাটা জরুরি। বাংলাদেশে এই যন্ত্রটি কেনার আগে আপনার কী কী বিষয় মাথায় রাখা উচিত, চলুন জেনে নিই।

আপনার জন্য সঠিক অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর বেছে নেওয়াটা যেন এক গোলকধাঁধা! এত ব্র্যান্ড, এত মডেল, কোনটা ছেড়ে কোনটা নেবেন? ভয় নেই, আমরা আছি তো! এই ব্লগ পোস্টে আমরা আপনাকে ধাপে ধাপে দেখাবো, কীভাবে আপনার জন্য সেরা যন্ত্রটি খুঁজে বের করবেন।

অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর কী এবং কেন প্রয়োজন?

অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর এমন একটি যন্ত্র যা বাতাস থেকে অক্সিজেন আলাদা করে রোগীকে সরবরাহ করে। এটি সিলিন্ডারের মতো অক্সিজেন মজুত করে না, বরং প্রয়োজন অনুযায়ী অক্সিজেন তৈরি করে। শ্বাসকষ্ট বা ফুসফুসের সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকর।

অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটরের মূল কাজ কী?

এটি বাতাস থেকে নাইট্রোজেন ফিল্টার করে বিশুদ্ধ অক্সিজেন সরবরাহ করে। এর ফলে রোগীরা উচ্চ ঘনত্বের অক্সিজেন পান, যা তাদের শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। সিলিন্ডারের তুলনায় এটি অনেক বেশি সুবিধাজনক।

কখন অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর ব্যবহার করা হয়?

সাধারণত COPD, নিউমোনিয়া, হাঁপানি, বা কোভিড-১৯ এর মতো জটিল শ্বাসযন্ত্রের রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য চিকিৎসক এটি ব্যবহারের পরামর্শ দেন। বাড়িতে দীর্ঘমেয়াদী অক্সিজেন থেরাপির জন্য এটি খুবই উপযোগী।

Generated image

কেনার আগে যে বিষয়গুলো বিবেচনা করবেন

অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর কেনার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই খতিয়ে দেখা উচিত। এগুলো আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।

১. আপনার ফ্লো রেটের প্রয়োজন

অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এর ফ্লো রেট। এটি প্রতি মিনিটে কত লিটার অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে, তা বোঝায়।

ফ্লো রেট কী?

ফ্লো রেট হলো যন্ত্রটি এক মিনিটে কত লিটার অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে, তার পরিমাপ। এটি সাধারণত লিটার প্রতি মিনিট (LPM) এককে প্রকাশ করা হয়।

আপনার প্রয়োজনীয় ফ্লো রেট কীভাবে জানবেন?

আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে আপনার প্রয়োজনীয় ফ্লো রেট জেনে নিন। এটি আপনার রোগের অবস্থা এবং অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তার উপর নির্ভর করে। সাধারণত, হালকা থেকে মাঝারি শ্বাসকষ্টের জন্য 1-5 LPM এবং গুরুতর ক্ষেত্রে 5-10 LPM প্রয়োজন হতে পারে।

২. অক্সিজেনের বিশুদ্ধতা

অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর যে অক্সিজেন সরবরাহ করে তার বিশুদ্ধতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কত শতাংশ বিশুদ্ধতা প্রয়োজন?

সাধারণত, মেডিকেল গ্রেড অক্সিজেনের বিশুদ্ধতা 90-95% হওয়া উচিত। কেনার আগে নিশ্চিত হোন যে যন্ত্রটি এই মান পূরণ করে। কিছু সস্তা কনসেন্ট্রেটর কম বিশুদ্ধতা দিতে পারে, যা রোগীর জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।

বিশুদ্ধতা কীভাবে পরীক্ষা করবেন?

কিছু উন্নত মডেলে বিল্ট-ইন অক্সিজেন সেন্সর থাকে যা বিশুদ্ধতার মাত্রা দেখায়। কেনার সময় বিক্রেতার কাছ থেকে এই তথ্য জেনে নিন এবং সম্ভব হলে পরীক্ষা করে দেখুন।

৩. পোর্টেবিলিটি এবং ওজন

আপনি যদি বাড়িতে বা বাইরে ব্যবহার করতে চান, তবে যন্ত্রের ওজন এবং বহনযোগ্যতা বিবেচনা করা জরুরি।

পোর্টেবল বনাম স্টেশনারি

  • পোর্টেবল কনসেন্ট্রেটর: এগুলো হালকা ও ছোট হয়, সহজে বহন করা যায়। ভ্রমণের জন্য বা যারা বাইরে যেতে চান তাদের জন্য উপযুক্ত। তবে এদের ফ্লো রেট সাধারণত কম হয়।
  • স্টেশনারি কনসেন্ট্রেটর: এগুলো আকারে বড় ও ভারী হয়, সাধারণত বাড়িতে ব্যবহারের জন্য। এদের ফ্লো রেট বেশি এবং অবিচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে।

আপনার জন্য কোনটি সেরা?

আপনার জীবনযাপন এবং প্রয়োজনীয়তার উপর নির্ভর করে বেছে নিন। যদি আপনার বেশি ফ্লো রেট প্রয়োজন হয় এবং আপনি বাড়িতেই বেশি থাকেন, তবে স্টেশনারি মডেল ভালো। আর যদি আপনি সক্রিয় জীবনযাপন করেন তবে পোর্টেবল মডেল বিবেচনা করতে পারেন।

৪. নয়েজ লেভেল

অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর চলার সময় শব্দ করে। এই শব্দের মাত্রা আপনার আরামের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

কত ডেসিবল (dB) শব্দ গ্রহণযোগ্য?

সাধারণত, 40-50 dB এর নিচে শব্দ মাত্রা গ্রহণযোগ্য। এর বেশি শব্দ হলে ঘুমানো বা মনোযোগ দেওয়া কঠিন হতে পারে। কেনার সময় বিক্রেতার কাছ থেকে নয়েজ লেভেল জেনে নিন।

নয়েজ লেভেল কমানোর উপায়

কিছু মডেল কম শব্দ করে। কেনার সময় "সাইলেন্ট" বা "লো নয়েজ" মডেলগুলো দেখতে পারেন। যন্ত্রের নিচে মোটা কাপড় বা কার্পেট ব্যবহার করলে শব্দ কিছুটা কমানো যেতে পারে।

৫. ব্র্যান্ড এবং মডেল

বাজারে অনেক ব্র্যান্ডের অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর পাওয়া যায়। ভালো ব্র্যান্ডের যন্ত্র সাধারণত বেশি নির্ভরযোগ্য হয়।

জনপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলো কী কী?

কিছু জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড হলো Philips, Inogen, Invacare, Devilbiss, Yuwell, ইত্যাদি। বাংলাদেশেও এসব ব্র্যান্ডের যন্ত্র পাওয়া যায়।

কোন ব্র্যান্ডের যন্ত্র কেনা উচিত?

পরিচিত এবং বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড বেছে নিন। এদের যন্ত্রের মান এবং বিক্রয়োত্তর সেবা সাধারণত ভালো হয়। অনলাইনে রিভিউ দেখেও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

৬. পাওয়ার সোর্স এবং ব্যাটারি লাইফ

যন্ত্রটি কীভাবে চলে এবং এর ব্যাটারি ব্যাকআপ কতক্ষণ, তা জেনে নেওয়া জরুরি।

বিদ্যুৎ সরবরাহ

অধিকাংশ স্টেশনারি কনসেন্ট্রেটর সরাসরি বিদ্যুৎ সংযোগে চলে। বিদ্যুৎ চলে গেলে ব্যবহারের জন্য ইউপিএস বা জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখা ভালো।

ব্যাটারি লাইফ (পোর্টেবল মডেলের জন্য)

পোর্টেবল মডেলের ব্যাটারি লাইফ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি সাধারণত 2-8 ঘণ্টা পর্যন্ত হতে পারে। আপনার দৈনিক ব্যবহারের উপর নির্ভর করে ব্যাটারি ব্যাকআপ দেখে নিন। অতিরিক্ত ব্যাটারি কেনার প্রয়োজন হতে পারে।

৭. বিক্রয়োত্তর সেবা এবং ওয়ারেন্টি

যন্ত্র কেনার পর যদি কোনো সমস্যা হয়, তবে বিক্রয়োত্তর সেবা অত্যন্ত জরুরি।

ওয়ারেন্টি কত দিনের?

সাধারণত, অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটরে 1-3 বছরের ওয়ারেন্টি থাকে। যত বেশি দিনের ওয়ারেন্টি পাবেন, তত ভালো। ওয়ারেন্টিতে কী কী কভার করা হচ্ছে তা জেনে নিন।

সার্ভিস সেন্টার কোথায়?

বাংলাদেশে সার্ভিস সেন্টার আছে এমন ব্র্যান্ড বেছে নিন। যন্ত্রে সমস্যা হলে যাতে দ্রুত সার্ভিসিং করাতে পারেন, সেদিকে খেয়াল রাখুন।

৮. ফিল্টার এবং রক্ষণাবেক্ষণ

অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটরের সঠিক কার্যকারিতার জন্য নিয়মিত ফিল্টার পরিবর্তন এবং রক্ষণাবেক্ষণ জরুরি।

কত ধরনের ফিল্টার থাকে?

সাধারণত, দুটি প্রধান ফিল্টার থাকে: একটি গ্রস পার্টিকুলেট ফিল্টার (যা ধুলাবালি আটকে) এবং একটি ব্যাকটেরিয়া ফিল্টার (যা সূক্ষ্ম কণা ও ব্যাকটেরিয়া দূর করে)।

কতদিন পর পর ফিল্টার পরিবর্তন করতে হয়?

গ্রস পার্টিকুলেট ফিল্টার নিয়মিত পরিষ্কার করতে হয় এবং প্রতি 6-12 মাস অন্তর পরিবর্তন করতে হয়। ব্যাকটেরিয়া ফিল্টার 1-2 বছর অন্তর পরিবর্তন করা যেতে পারে, মডেলভেদে এটি ভিন্ন হতে পারে। যন্ত্রের ম্যানুয়াল দেখে নিন।

৯. বাজেট এবং মূল্য

অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটরের দাম মডেল, ব্র্যান্ড এবং ফিচারভেদে ভিন্ন হয়।

দামের পরিসীমা

বাংলাদেশে স্টেশনারি কনসেন্ট্রেটরের দাম সাধারণত 40,000 টাকা থেকে 1,50,000 টাকা বা তার বেশি হতে পারে। পোর্টেবল মডেলগুলো আরও ব্যয়বহুল হয়।

আপনার বাজেট অনুযায়ী সেরা যন্ত্রটি কীভাবে খুঁজে পাবেন?

আপনার বাজেট অনুযায়ী সেরা ফিচারযুক্ত যন্ত্রটি বেছে নিন। শুধু দামের দিকে না তাকিয়ে যন্ত্রের গুণগত মান, ফ্লো রেট, বিশুদ্ধতা এবং বিক্রয়োত্তর সেবা বিবেচনা করুন।

১০. সরবরাহকারী এবং বিক্রেতা

কোথা থেকে কিনছেন, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

নির্ভরযোগ্য বিক্রেতা কারা?

স্বাস্থ্য সরঞ্জাম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান, ফার্মেসী বা অনলাইনে নির্ভরযোগ্য বিক্রেতাদের কাছ থেকে কিনুন। তাদের লাইসেন্স এবং পূর্বের গ্রাহকদের রিভিউ দেখে নিন।

ভাড়া নেওয়ার বিকল্প

যদি আপনার স্বল্প সময়ের জন্য অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়, তবে যন্ত্র ভাড়া নেওয়ার বিকল্পও বিবেচনা করতে পারেন। অনেক প্রতিষ্ঠান এই সেবা দিয়ে থাকে।

১১. অতিরিক্ত আনুষাঙ্গিক

কিছু আনুষাঙ্গিক আপনার অক্সিজেন থেরাপিকে আরও আরামদায়ক করতে পারে।

কী কী আনুষাঙ্গিক প্রয়োজন হতে পারে?

  • ন্যাসাল ক্যানুলা: এটি নাকে প্রবেশ করিয়ে অক্সিজেন সরবরাহ করে।
  • অক্সিজেন মাস্ক: মুখে মাস্ক পরিয়ে অক্সিজেন নেওয়া হয়।
  • হিউমিডিফায়ার: অক্সিজেন শুষ্ক হওয়ায় গলা শুকিয়ে যেতে পারে। হিউমিডিফায়ার অক্সিজেনকে আর্দ্র রাখে।
  • পালস অক্সিমিটার: রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা পরিমাপের জন্য এটি জরুরি।

অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর ব্যবহারের সময় সতর্কতা

সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে বা রক্ষণাবেক্ষণ না করলে যন্ত্রের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে।

নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা

যন্ত্রের বাইরের অংশ এবং ফিল্টার নিয়মিত পরিষ্কার করুন। এটি যন্ত্রের আয়ু বাড়ায় এবং বিশুদ্ধ অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করে।

সঠিক ভেন্টিলেশন

যন্ত্রটি এমন জায়গায় রাখুন যেখানে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল করে। দেয়াল থেকে অন্তত 6 ইঞ্চি দূরে রাখুন যাতে বাতাস চলাচল করতে পারে।

আগুন থেকে দূরে রাখুন

অক্সিজেন দাহ্য। তাই অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর ব্যবহারের সময় আগুন, সিগারেট বা যেকোনো রকম দাহ্য পদার্থ থেকে দূরে থাকুন।

ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন

চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ফ্লো রেট পরিবর্তন করবেন না বা যন্ত্র ব্যবহার বন্ধ করবেন না।

সচরাচর জিজ্ঞাস্য (FAQs)

১. অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর কি বিদ্যুৎ ছাড়া চলে?

না, অধিকাংশ অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর বিদ্যুৎ ছাড়া চলে না। পোর্টেবল মডেলগুলোতে ব্যাটারি ব্যাকআপ থাকে, যা বিদ্যুৎ চলে গেলে কিছু সময়ের জন্য ব্যবহার করা যায়। তবে স্টেশনারি মডেলগুলো সরাসরি বিদ্যুৎ সংযোগে চলে। বিদ্যুৎ চলে গেলে ব্যবহারের জন্য ইউপিএস বা জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখা অত্যাবশ্যক।

২. অক্সিজেন সিলিন্ডারের চেয়ে কনসেন্ট্রেটর কেন ভালো?

অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর বাতাস থেকে অক্সিজেন তৈরি করে, তাই এটি অক্সিজেন ফুরিয়ে যাওয়ার চিন্তা দূর করে। সিলিন্ডারের মতো রিফিল করার ঝামেলা নেই। এটি দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের জন্য বেশি সাশ্রয়ী এবং সুবিধাজনক। সিলিন্ডার ভারী ও বিপজ্জনক হতে পারে, যেখানে কনসেন্ট্রেটর তুলনামূলকভাবে নিরাপদ ও বহনযোগ্য (পোর্টেবল মডেলের ক্ষেত্রে)।

৩. কনসেন্ট্রেটর কেনার পর কি কোনো সার্ভিসিং প্রয়োজন?

হ্যাঁ, কনসেন্ট্রেটরের সঠিক কার্যকারিতার জন্য নিয়মিত সার্ভিসিং প্রয়োজন। বিশেষ করে, এর ফিল্টারগুলো নিয়মিত পরিষ্কার বা পরিবর্তন করতে হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, গ্রস পার্টিকুলেট ফিল্টার প্রতি 6-12 মাস অন্তর এবং ব্যাকটেরিয়া ফিল্টার 1-2 বছর অন্তর পরিবর্তন করতে হয়। যন্ত্রের ম্যানুয়াল দেখে এবং বিক্রেতার সাথে কথা বলে সার্ভিসিংয়ের সময়সূচী জেনে নিন।

৪. বাড়িতে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর ব্যবহার করা কি নিরাপদ?

হ্যাঁ, বাড়িতে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর ব্যবহার করা নিরাপদ, যদি আপনি সঠিক নিয়মাবলী মেনে চলেন। যন্ত্রটি পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল করে এমন স্থানে রাখুন। আগুন এবং দাহ্য পদার্থ থেকে দূরে রাখুন। শিশুদের হাতের নাগালের বাইরে রাখুন। নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ফ্লো রেট ব্যবহার করুন।

৫. অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটরের আয়ুষ্কাল কত?

একটি ভালো মানের অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর সাধারণত 5 থেকে 10 বছর পর্যন্ত টিকে থাকে, যদি সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। যন্ত্রের ব্র্যান্ড, মডেল এবং ব্যবহারের ধরনের উপর এর আয়ুষ্কাল নির্ভর করে। নিয়মিত সার্ভিসিং, ফিল্টার পরিবর্তন এবং সঠিক ব্যবহার যন্ত্রের আয়ুষ্কাল বাড়াতে সাহায্য করে।

Share it

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Related Article
Back to top